Speed Of Light

আলোর গতি

Speed Of Light

সূরা সিজদার একটি আয়াত আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম ভিত্তি ‘আলোর গতি’–এর ব্যাখ্যার সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে মিল খুঁজে দেয়।

আলোর গতি: কুরআনের ভাষ্যে এক মহাবৈজ্ঞানিক ইঙ্গিত


পবিত্র কুরআন শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক পথনির্দেশনা নয়, বরং জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং বিশ্ব-পরিচয়ের এক মহান উৎস। সূরা সিজদার একটি আয়াতে (৩২:৫) আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা একটি এমন বাস্তবতার কথা উল্লেখ করেছেন, যা আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে। আয়াতটি নিম্নরূপ:

ٱللَّهُ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ إِلَى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍۢ كَانَ مِقْدَارُهُۥٓ أَلْفَ سَنَةٍۢ مِّمَّا تَعُدُّونَ

“আল্লাহ আকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে যাবতীয় বিষয় পরিচালনা করেন, অতঃপর তা তাঁর কাছে ফিরে যায় এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের হিসেব মতে এক হাজার বছরের সমান।”

— সূরা আস-সিজদা (৩২:৫)


চন্দ্রবর্ষভিত্তিক গণনা

আরবরা হিজরি চন্দ্র পঞ্জিকা ব্যবহার করত। একটি চন্দ্র বছর গড়ে ৩৫৪.৩৬ দিন। অতএব, ১০০০ বছর = ৩৫৪,৩৬০ দিন। এ পরিমাণ সময় যদি দৈনিক দূরত্বে রূপান্তর করা হয়, তবে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম হয় তা আলোর গতির কাছাকাছি।


আলোর গতি ও আয়াতের মিল

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে, আলোর গতি নির্ধারিত হয়েছে ২৯৯,৭৯২ কিমি/সেকেন্ড। এই আয়াতে যা বলা হয়েছে — “এক দিনে যা তোমাদের হিসাবে এক হাজার বছর”, সেটি চন্দ্রবর্ষ ও ফেরেশতাদের যাতায়াতের প্রেক্ষিতে এক অলৌকিক গণনায় আলোর গতি নির্দেশ করে বলে বহু স্কলার ইঙ্গিত করেছেন।


ফেরেশতাদের গতি ও আল্লাহর নির্দেশ

তাফসিরবিদগণ বলেন, ফেরেশতারা আল্লাহর আদেশ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং তা সম্পন্ন করে পুনরায় তাঁর দিকে ফিরে যান। তাদের এই যাতায়াতের গতি যে “এক দিনে ১০০০ বছর সমতুল্য”, তা আলোর গতি সংক্রান্ত তত্ত্বের সঙ্গে বিস্ময়কর মিল রাখে।


কুরআনের অলৌকিকত্ব

নবী মুহাম্মদ ﷺ ছিলেন নিরক্ষর। তাঁর সময়ে এমন কোনো গাণিতিক বা জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল না যা এমন ধারণা দিতে পারত। অতএব, এই তথ্য কেবল ঐ মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকেই হতে পারে, যিনি সমস্ত জ্ঞান ও বাস্তবতার উৎস।


উপসংহার

“আলোর গতি” কেবল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয়, বরং এটি কুরআনের অলৌকিক ইঙ্গিত যা প্রমাণ করে যে, কুরআন সব যুগের জন্য পথনির্দেশক, বিজ্ঞান ও ঈমান উভয়ের এক বিস্ময়কর সেতুবন্ধ।

“وَفِيٓ أَنفُسِكُمْ ۚ أَفَلَا تُبْصِرُونَ” — “তোমাদের নিজেদের মধ্যেই তো রয়েছে নিদর্শন; তবুও কি তোমরা দেখো না?” (সূরা আয-যারিয়াত ৫১:২১)

Background

সর্বশেষ তথ্য পান

আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন এবং কুরআন বিষয়ক সর্বশেষ নিবন্ধ ও আপডেট পান।